Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

খাজুরা কাজী পাড়া সমাজ অনুশিলন ক্লাব

খাজুরা কাজী পাড়া সমাজ অনুশিলন ক্লাব

ঈমান একতা শৃংখলা

ভূমিকা

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম গ্রাম প্রধান কৃষি নির্ভর দেশ। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রায় ১২ কোটিতে পরিনত হয়েছে এবং এই সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বেকার সমস্যা তীর্বতর থেকে তীর্বতর হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে অর্থনৈতিক সমস্যা, অশিক্ষা- কুশিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়, সামাজিক দূর্নীতি, আর্সেনিক ও পরিবেশ দূষণ এমনকি সন্ত্রাস নামক কালব্যধি আজ সমাজ ওরাষ্টের কাঁধি চেপে বসে আছে। অপর দিকে শিক্ষিত হতাশাগ্রস্থ বেকার যুবক ও তরুন সমাজ দিন দিন নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রকার ড্রাগ: হেরোইন, গাঁজা, ফেনিসিডিল জাতীয় মাদকদ্রব্যের নেশার কবলে পড়ে। ফলে সমাজ ও রাষ্টীয় জীবনে নেমে এসেছে অচলাবস্থা, জনমনে বিরাজ করছে নিরাপত্তাহীনতা। বিংশ শতাব্দীর দ্বার প্রান্তে এসে বিশ্ববাসী জয় করতে যাচ্ছে মঙ্গল গ্রহসহ মহাকাশ বিশ্বকে আমরা তখন যুদ্ধ করছি ক্ষুধা ও দারিদ্র নামক দানবের সাথে।অপর দিকে সরকারের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও আপামোর দেশপ্রেমিক সংখাগরিষ্ঠ জনগণ আজ নির্বিকার। এমনকি দেশে পযাপ্ত প্রাকৃতিক জনসম্পদ থাকা সত্ত্বেও দেশের সংখাগরিষ্ঠ মানুষ অনাহারে-অর্ধঅহারে দারিদ্র সীমার নীচে দূবিসহ জীবন যাপন করছে। সরকারের প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও দেশীয় সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার, সুষ্ঠ বন্টন, সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও তদারকী ও সমন্বয় সাধনের অভাবে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেও আশানুরূপ সুফল পাচ্ছা না। ইহা ছাড়া সুশিক্ষার অভাবে দেশের মানুষ ধর্মীয় গোড়ামী, সামাজিক কুসংস্কার, বাল্য বিবাহসহ নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি করে জাতি তথা দেশকে অন্ধকারের দিকে ধাবিত করছে।

          এমতাবস্থায় দেশের মানুষকে সচেতন করে এবং প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়া একান্ত প্রয়োজন।

          উক্ত সমস্যাগুলো সমাধানসহ সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক কল্যানে নিষ্ঠা ওএকাগ্রতার সহিত সেবা করার প্রতিশ্রুতি ও আধুনিক সংযোজন নিয়েই আমাদের এই ক্ষুদ্র অভিপ্রায় ‘‘ খাজুরা কাজী পাড়া সমাজ অনুশিলন ক্লাব’’।

 

উদ্দেশ্য

(ক) দুঃস্থ ও আর্তমানবতার সেবা

(খ) গ্রামের শান্তি-শৃংখলা রক্ষা ও গ্রাম্য শালিশ পরিচালনায় গ্রামপ্রধান বা      মাতববরদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান

(গ) নিরক্ষরতা দুরীকরণের জন্য বয়স্ক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা

(ঘ) যৌতুক আদান প্রদান ও বাল্য বিবাহ রোধে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি

(ঙ) গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করণ

(চ) আর্সেনিক সমস্যা সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করণ ও সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহন।

(ছ) বৃক্ষ রোপন ও পরিবেশ রক্ষায় জনগনকে উদ্বুদ্ধকরণ

(জ) ধুমপান ও মাদক বিরোধী আন্দোলন জোরদার করণ

(ঝ) নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করণ

(ঞ) গ্রামের কৃষকদের উন্নত চাষাবাদে বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ

(ট) গ্রামের রাস্তাঘাট, সরকারী- আধাসরকারী প্রতিষ্ঠান সংরক্ষন ও উন্নয়নে সরকারী সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিতকরণ

(ঠ) সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দূর্নীতি, সমাজ ও ধর্মীয় রীতিনীতি বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন

(ড) সরকারী সকল প্রকার কার্যক্রম বাস্তবায়নকে সার্বিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান

(ঢ) জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আত্ন-কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত সর্বস্তরের বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের বিভিন্ন প্রকার প্রযুক্তিগত ও কারিগরি প্রশিক্ষণ, কুটির শিল্প, পোশাক তৈরী, সেলাই ও হস্তশিল্প তৈরী প্রশিক্ষনের প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন

(ণ) খেলা-ধুলা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচী প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন

(প) মানষিক উন্নয়ন ও পাঠ্য-অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা

 

খাজুরা কাজী পাড়া সমাজ অনুশিলন ক্লাব

সাং খাজুরা ডাকঘর: জনার্দ্দনবাটী থানা: নলডাঙ্গা উপজেলা: নাটোর সদর জেলা: নাটোর।

ধারা-১। নাম করণ:-

          এই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘‘খাজুরা কাজী পাড়া সমাজ অনুশিলন ক্লাব’’।

ধারা-২। পরিধি:-

খাজুরা গ্রাম। পরবর্তীতে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে কার্য এলাকা সম্প্রসারণ করা যাবে।

ধারা-৩। মূলনীতি:-

          ঐক্য, ঈমান, একতা, শৃংখলা, বিশ্বাস, জবাবদিহিতা।

ধারা-৪। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য:-

          (ক) দুঃস্থ ও আর্তমানবতার সেবা

(খ) গ্রামের শান্তি-শৃংখলা রক্ষা ও গ্রাম্য শালিশ পরিচালনায় গ্রামপ্রধান বা      মাতববরদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান

(গ) নিরক্ষরতা দুরীকরণের জন্য বয়স্ক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা

(ঘ) যৌতুক আদান প্রদান ও বাল্য বিবাহ রোধে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি

(ঙ) গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করণ

(চ) আর্সেনিক সমস্যা সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করণ ও সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহন।

(ছ) বৃক্ষ রোপন ও পরিবেশ রক্ষায় জনগনকে উদ্বুদ্ধকরণ

(জ) ধুমপান ও মাদক বিরোধী আন্দোলন জোরদার করণ

(ঝ) নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করণ

(ঞ) গ্রামের কৃষকদের উন্নত চাষাবাদে বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ

(ট) গ্রামের রাস্তাঘাট, সরকারী- আধাসরকারী প্রতিষ্ঠান সংরক্ষন ও উন্নয়নে সরকারী সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিতকরণ

(ঠ) সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দূর্নীতি, সমাজ ও ধর্মীয় রীতিনীতি বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন

(ড) সরকারী সকল প্রকার কার্যক্রম বাস্তবায়নকে সার্বিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান

(ঢ) জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আত্ন-কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত সর্বস্তরের বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের বিভিন্ন প্রকার প্রযুক্তিগত ও কারিগরি প্রশিক্ষণ, কুটির শিল্প, পোশাক তৈরী, সেলাই ও হস্তশিল্প তৈরী প্রশিক্ষনের প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন

(ণ) খেলা-ধুলা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচী প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন

(প) মানষিক উন্নয়ন ও পাঠ্য-অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা

ধারা-৫। সদস্য পদ:-

(ক) সদস্য সংখ্যাঃ এই ক্লাবের সদস্য সংখ্যা কোন ক্রমেই ১০১ জনের অধিক হইবে না।

(খ) সদস্যপদ গ্রহনের নিয়মাবলীঃ-

 

(১) আজিবন সদস্য: কার্য এলাকায় বসবাসকারী যে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ্য মস্তিস্ক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ২০,০০০/= (বিশ হাজার) টাকা বা সমমূল্যের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ দান করলে তাকে আজিবন সদস্য হিসাবে গ্রহন করা যাবে।

(২) সাধারণ সদস্য:- এই সংগঠনের লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য সমূহে (ধারা-৪) বিশ্বাসী সুস্থ্যমস্তিস্ক সম্পন্ন বিবেকবান ও সৎচরিত্রের প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের নীচে নয়) এমন বাংলাদেশী ব্যক্তি যে কার্য এলাকায় বসবাস করে: নির্ধারিত আবেদন ফরমে নির্ধারিত ১০ (দশ) টাকা ফি জমা দিয়ে সভাপতি বরাবরে সদস্য পদের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন পত্র বিবেচনা ও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত কার্যকরী কমিটি নিবে। কার্যকরী কমিটির অনুমোদনক্রমে নির্ধারিত সদস্য ভর্তি ফি ও সদস্য চাঁদা প্রদান করে এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ লাভ করা যাবে। কার্যকরী কমিটি সদস্য ভর্তি ফি ও সদস্য চাঁদার পরিমান নির্ধারণ করবে।

(গ) সদস্যগণের সুবিধা ও ক্ষমতাঃ-

(১) আজিবন সদস্য:- এ ধরণের সদস্যগণের সুবিধা সাধারণ সদস্যগণের মতই। তারা ভোটে অংশগ্রহন করতে ও ভোট প্রদান করতে পারবে।

(২) সাধারণ সদস্য:- প্রতিষ্ঠানের সকল সুযোগ-সুবিধা তারা ভোগ করতে পারবেন। ভোট দেওয়ার ও ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করার ক্ষমতা থাকবে।

(ঘ) সদস্যপদ স্থগিত বাতিল, পূণঃপ্রাপ্তিঃ-

(১) অসদাচারণ, গঠনতন্ত্রের অবমাননা, প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তির সদস্যপদ সরাসরি বাতিল হবে। পরোক্ষভাবে জড়িত কোন সদস্যের বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগ কার্যকরী কমিটির ৩/৪ অংশ ভোটে গৃহীত হলে সাধারণ পরিষদের যে কোন সদস্যকে বহিষ্কার করতে পারবে।

(২) নৈতিক স্খলন অথবা রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত ফোজদারী আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত সকল ধরণের সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে।

(৩) ০৫ (পাঁচ) মাস চাঁদা পরিশোধ না করলে সদস্য পদ স্থগিত বলে গন্য হবে। তবে পূন:ভর্তির জন্য নির্ধারিত জরিমানা বা বকেয়াসহ চাঁদা প্রদান করলে কার্যকরী কমিটি কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে সদস্য পদ পূণ:বহাল করা যেতে পারে।

(৪) যেকোন কার্যনির্বাহী সদস্য যথাযথ কারণ ব্যতীত পরপর ০৩ (তিন)টি সভায় অনুপস্থিত থাকলে তার কার্যকরী কমিটির সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে।

(৫) কোন সদস্য যদি প্রতিষ্ঠানের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি আত্নসাত বা নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে এরূপ প্রমানিত হলে তার সদস্য পদ বাতিল বলে গন্য হবে।

(৬) কোন সদস্য যদি স্বেচ্ছায় প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদে থাকতে না চায় তবে তাকে লিখিত ভাবে কারণ উল্লেখ করে সভাপতি বরাবরে আবেদন করতে হবে। কার্যকরী কমিটি পদ ত্যাগের কারণ যথাযথ মনে করিলে পদত্যাগ পত্র গ্রহন করতে পারবেন।

ধারা:-৬। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের কাঠামো:-

(1)   সাধারণ পরিষদের গঠন ও কাঠামো:-

(ক) প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সদস্য ও আজীবন সদস্য নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হবে।

(খ) এ পরিষদ সংস্থার সর্বোচ্চ পরিষদ বলে গন্য হবে।

(গ) এ পরিষদ কার্যকরী কমিটি গঠন করবে।

(ঘ) সংস্থার পরিকল্পনা, বাজেট, আয় ব্যয়ের হিসাব, বার্ষিক প্রতিবেদন প্রভৃতি অনুমোদন এবংগঠনতন্ত্রের সংশোধন, সংস্থার বিলুপ্তির প্রস্তাব বিবেচনা ও অনুমোদন করবে।

(ঙ) সাধারণ সদস্যদের তলবী সভা আহবান করার ক্ষমতা থাকবে।

(২) এই সংস্থার কার্যক্রম কাঠামো ০৩ (তিন)টি পরিষদ ও কমিটির দ্বারা পরিচালিত হবেঃ

(ক) আহবায়ক কমিটি

(খ) উপদেষ্টা পরিষদ

(গ) কার্যকরী কমিটি বা কার্যনির্বাহী কমিটি

(ক) আহবায়ক কমিটিঃ যখন কোন কারণে কার্যনির্বাহী কমিটি না থাকবে তখন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ০৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠিত হবে। পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত কার্যনির্বাহী কমিটির সকল দায়িত্ব আহবায়ক কমিটি পালন করবে।

আহবায়ক কমিটি রূপরেখা নিম্নরূপঃ

(১) আহবায়ক                      ১ জন

(২) সদস্য                           ৪ জন

(খ) উপদেষ্টা পরিষদঃ সংস্থা পরিচালনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন, ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন সুষ্ঠভাবে পরিচালনার উপদেশ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য কমপক্ষে ০৫(পাঁচ) সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হবে। যা সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।

(গ) কার্যনির্বাহী কমিটিঃ-

(১) প্রতিষ্ঠান সুষ্টভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি কার্যনির্বাহী কমিটি থাকবে। উক্ত কমিটি সাধারণ পরিষদের সদস্যদের সহযোগিতায় সকল প্রকার উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন।

(২) এই কমিটির কার্যকালের মেয়াদ হবে ০৩(তিন) বছর। সময়, সুযোগ ও প্রয়োজনে এই মেয়াদ সংকীর্ণ বা বর্ধিত করা যাইতে পারে। কোন ক্রমেই মেয়াদ ০৫ (পাঁচ) বছরের অধিক হইবে না। সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে। সরকারী, আধাসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে/সংস্থায় চাকুরীরত সদস্যগন কার্যকরী/কাযনির্বাহী কমিটির সদস্য থাকতে পারবে না।

(৩) জানুয়ারী হইতে ডিসেম্ব পর্যন্ত বছর ধরা হবে।

(৪) এই কমিটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন।

(৫) পরিকল্পনা তৈরী ও বাস্তবায়ন, বাজেট প্রনয়ণ, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষন, কার্যক্রমের উপর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রনয়ন ও কর্মসূচী প্রকল্প প্রনয়ন করবে এবং সাধারণ পরিষদ হতে চূড়ান্ত অনুমোদন গ্রহন করবে।

(৬) কার্যনির্বহী কমিটির সদস্যগণ যে কোন সময় সভাপতির নিকট লিখিতভাবে পদত্যাগ করতে পারবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক পদত্যাগ পত্র গৃহীত হলে উহা কার্যকরী হবে।

 

কার্যনির্বাহী কমিটি নিম্নরূপঃ

(১) সভাপতি                        ১ জন

(২) সহ-সভাপতি                   ১ জন

(৩) সাধারণ সম্পাদক             ১ জন

(৪) যুগ্ম সম্পাদক                  ১ জন

(৫) কোষাধ্যক্ষ                      ১ জন

(৬) দপ্তর সম্পাদক                ১ জন

(৭) সাংগঠনিক সম্পাদক                   ১ জন

(৮) সহ-সাংগঠনিক               ১ জন

(৯) সহ-ক্রীড়া সম্পাদক           ১ জন

(১০) ক্রিড়া সম্পাদক              ১ জন

(১১) প্রচার সম্পাদক              ১ জন

(১২) সহ-প্রচার সম্পাদক                   ১ জন

(১৩) সাহিত্য সম্পাদক            ১ জন

(১৫) সহ-সাহিত্য সম্পাদক       ১ জন

(১৬) সমাজ কল্যাণ সম্পাদক    ১ জন

 

ধারা:- ৭। বিভিন্ন কমিটির ক্ষমতাঃ-

           (ক) আহবায়ক কমিটি:

(১) এই কমিটি প্রতিষ্টানের বিভিন্ন কর্মসূচী পরিকল্পনা গ্রহন করবে ও পরামর্শ প্রদান করবে।

(২) এই কমিটি কার্যকরী / কার্যনির্বাহী কমিটির অনিয়ম, দূর্নীতির তদন্ত করতে পারবে এবং যেকোন সময় প্রতিষ্টানের আয়-ব্যয়সহ যাবতীয় কাগজ-পত্র অডিট করতে পারবে।

(৩) কার্যকরী কমিটির কোন প্রকার অনিয়ম, দূর্নীতি বা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অপারগ হলে যেকোন সময় কার্যকরী কমিটি বাতিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করতে পারবে।

(৪) যখন কোন কারণে কার্যনির্বাহী কমিটি না থাকবে তখন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ০৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠিত হবে। পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত কার্যনির্বাহী কমিটির সকল দায়িত্ব আহবায়ক কমিটি পালন করবে।

ধারা-৮। কার্যকরী/কার্যনির্বাহী কমিটির পদ সমূহের ক্ষমতাঃ-

          (ক) সভাপতি:

          (১) সভাপতি যেকোন সময় জরুরী বা বিশেষ সভা আহবান করতে পারবে।

          (২) তিনি প্রতিষ্ঠানের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন।

          (৩) তিনি সকল কমিটির নিকট কৈফিয়ত তলব করতে পারবেন।

(৪) কোন কারণে কার্যকরী কমিটি ভেঙ্গে গেলে তিনি সকল কমিটির দায়িত্ব পালন করবেন।

(৫) তিনি সকল কাজের প্রতি নজর রাখবেন।

(৬) কোন কারণে কার্যকরী কমিটি ভেঙ্গে গেলে তিনি সকল বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন এবং আহবায়ক কমিটির সহায়তায় একটি অন্তবর্তীকালীন কমিটি গঠন করে কাজ চালাতে পারবেন।

(৭) তিনি পদাধীকার বলে সকল কমিটির সদস্য থাকবেন।

(৮) সমসংখ্যক ভোট হলে তিনি বিশেষ ভোট দিতে পারবেন।

(৯) সভার কার্যবিবরণী ,ক্যাশবহির খরচ পার্শ্বে এবং সকল প্রকার কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করবেন।

(খ) সহসভাপতি:

সভাপতি সাহিবের অনুপস্থিতিতে সহসভাপতি তাঁর(সভাপতির) দায়িত্ব পালন করবেন।

(গ) সাধারণ সম্পাদক:

(১) তিনি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাগজপত্র ও রেজিষ্টার সংরক্ষন করবেন। প্রতিষ্ঠানের বেতনভূক্ত কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলী, বরখাস্ত সংক্রান্ত নীতিমালা একটি উপকমিটির মাধ্যমে প্রনয়ন করবেন। এক্ষেত্রে ০৫(পাঁচ)